আরও দেখুন
সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য প্রথম রেজিস্ট্যান্স লেভেল—1.2613 এর উপরে স্থির হতে ব্যর্থ হয়েছে, যা উপরোক্ত চার্টে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, মূল্য গ্যাপ কভার করার দিকে ঝুঁকেছিল, যা নিয়ে পূর্বের নিবন্ধগুলোতে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে, পাউন্ডের প্রযুক্তিগত পূর্বাভাস এটি নির্দেশ করছে যে 1.2502 এবং 1.2613 লেভেলের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। আজ যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট নির্ধারিত না থাকায়, মূল্য এই রেঞ্জের মধ্যে থাকতে পারে। ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য আমরা এখনো কোনো ভিত্তি দেখতে পাচ্ছি না। একটি কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য কমপক্ষে মৌলিক পটভূমি থেকে কিছু সমর্থন প্রয়োজন, যা এখনো অনুপস্থিত। সুতরাং, আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির চেয়ে নতুন দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি। সোমবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছিল না, যার ফলে মার্কেটে ট্রেডারদের কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি।
সোমবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে তিনটি চমৎকার ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, এবং মঙ্গলবার রাতে আরেকটি সিগন্যাল দেখা যায়। মূল্য 1.2547 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছিল, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য প্রত্যেকবারই লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দিয়েছিল। মূল্য 1.2613 লেভেল থেকে একবার রিবাউন্ড করেছিল, যা শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ প্রদান করেছিল। রাতে, 1.2502–1.2508 এরিয়ায় মূল্যের রিবাউন্ড হয়েছিল, যা নতুন লং পজিশন ওপেন করার ভিত্তি প্রদান করেছিল। তবে, যেহেতু শেষ সিগন্যালটি রাতে পাওয়া গিয়েছিল, এটি সম্ভবত ট্রেড করার জন্য কার্যকর ছিল না।
এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা মাঝারি মেয়াদে এই পেয়ারের আরও দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, যদিও গত সপ্তাহে কারেকশনের কারণ বিদ্যমান ছিল। এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ বর্তমানে এই পেয়ারটি বিক্রি করার জন্য মার্কেটের ট্রেডারদের কোনো বিশেষ কারণের প্রয়োজন নেই।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2502 এবং 1.2613 লেভেলের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের শান্ত এবং স্থিতিশীল মুভমেন্টের আশা করতে পারেন।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2754, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বড় ইভেন্টের নেই, তাই আবারও এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম। আমরা মনে করি, আজও মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।