empty
 
 
05.12.2024 08:34 AM
৫ ডিসেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার 1.0451–1.0596 রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং চালিয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জে আটকে আছে। যদিও এই হরাইজন্টাল চ্যানেলটি প্রায় 150 পিপস প্রশস্ত, তারপরও এটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে, যা ছোট হওয়ার প্রয়োজন নেই। ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের পরিবর্তে আমরা বর্তমানে একটি সাইডওয়েজ মুভমেন্ট লক্ষ্য করছি। এখন পর্যন্ত এই সপ্তাহটি বেশ হতাশাজনকভাবে অতিক্রান্ত হচ্ছে। বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট এবং প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া সত্ত্বেও, মাত্র কয়েকটি প্রতিবেদন ট্রেডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে। মূলত, মার্কেটের ট্রেডাররা শুধুমাত্র সোমবার এবং বুধবারের মার্কিন ISM ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত সূচকগুলোর দিকেই মনোযোগ দিয়েছে। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জ ব্রেক করে বেরিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট ছিল না। বুধবার ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ADP এবং JOLTs থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো কার্যত উপেক্ষিত হয়েছে। আমরা যেমনটি সতর্ক করেছিলাম, ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, এবং আমরা এখন ঠিক সেটিই প্রত্যক্ষ করছি।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিট টাইমফ্রেমে, বুধবার দুটি মাঝারি মানের ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। বিশেষ করে ফ্ল্যাটে মুভমেন্টের সময় ট্রেড করা উচিত নয়, কারণ এই মুভমেন্টগুলো বেশ এলোমেলো হতে পারে। গতকাল, মূল্য 1.0526 লেভেল থেকে দুইবার বাউন্স করেছিল। প্রথম সিগন্যালে এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 35 পিপস কমে যায়, যা ট্রেডে কোনো লোকসান নিশ্চিত করেনি। দ্বিতীয় সিগন্যালটি দিনের শেষভাগে খুব দেরিতে আসে এবং এটি এড়িয়ে যাওয়া যেত।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের প্রচেষ্টা চলমান আছে, তবে ইউরোর মূল্যের কেবলমাত্র সীমিত এবং ধীরগতির ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। আমরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে 1.0451–1.0596 চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং হতে দেখছি। দুই মাসের দরপতনের পরেও মার্কেটে ইউরো ক্রয়ের কোনো প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। তবে, ফ্ল্যাটে মুভমেন্ট সাধারণত খুবই এলোমেলো হয়, যা ট্রেডারদের মাথায় রাখা উচিত।

5-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণ করুন: 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0845–1.0851, 1.0888–1.0896। বৃহস্পতিবারের জন্য প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় এবং মার্কিন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন, যা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.