empty
 
 
06.01.2025 06:21 AM
৬ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

সোমবারে খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, এবং যেগুলো রয়েছে এর মধ্যে কোনোটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হবে। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে মুদ্রাস্ফীতি এমন একটি বিষয় যা ডলারের বিপরীতে ইউরোর দরপতন ঠেকানোর সুযোগ তৈরি করতে পারে। যদি দেশটির মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকে, তাহলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) মুদ্রানীতির নমনীয়করণে বিরতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে। ফলস্বরূপ, জার্মানি এবং পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নে মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী পরিসংখ্যান ইউরোর জন্য ইতিবাচক হতে পারে। তবে, পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন বড় কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে না।

অন্য প্রতিবেদনগুলো তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসের জন্য পরিষেবা সংক্রান্ত PMI এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হবে, এটি সম্ভবত প্রাথমিক অনুমানের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হবে না। তাই, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

আবারও, সোমবারের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। এর পাশাপাশি, বর্তমানে ট্রেডাররা কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিনিধিদের বক্তব্য বা মন্তব্যের প্রয়োজন অনুভব করছে না। এটি বৃহস্পতিবারই স্পষ্ট হয়ে গেছে, যখন ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ই তীব্রভাবে দরপতনের শিকার হয়, অথচ এর জন্য কোনো মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকই অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা মার্কেটের ট্রেডারদের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যত কার্যক্রম সম্পর্কে একটি বিস্তৃত ধারণা প্রদান করেছে। আমরা মনে করি যে এই বৈঠকগুলো ট্রেডারদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা প্রেরণ করেছে: মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে।

উপসংহার:

নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, ট্রেডাররা উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের ধারাবাহিকতা প্রত্যাশা করতে পারে। আজ প্রকাশিতব্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক প্রভাবে নেই। সুতরাং, আমরা মার্কেটে স্থিতিশীল পরিস্থিতির আশা করছি যেখানে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী::

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.