আরও দেখুন
শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে, এবং এগুলোর প্রায় সবগুলোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইউরোজোনের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে আজ কোন প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই। অন্যদিকে, মার্কিন প্রতিবেদন ট্রেডারদের প্রচুর তথ্য প্রদান করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ননফার্ম পেরোল, বেকারত্বের হার, কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক এবং মজুরি বৃদ্ধির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি, কারণ এগুলো সরাসরি ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতিকে প্রভাবিত করে, যা মার্কিন ডলারের মূল্যের প্রায় 70% মুভমেন্টের জন্য দায়ী। যদিও মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ, তবে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচকটির ফলাফল যদি পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তবে এটি মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
শুক্রবারে কোন উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, এবং কোন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বা অন্যান্য ইভেন্টেরও পরিকল্পনা নেই। তবে, আজ এগুলো খুব বেশি প্রয়োজনীয় নয়, কারণ বিশ্লেষণ করার জন্য ট্রেডারদের ঘাতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থাকবে।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, আজ এই কারেন্সি পেয়ারগুলোর মূল্যের মুভমেন্ট মূলত—বা সম্পূর্ণরূপে—মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর উপর নির্ভর করবে, যা দুপুরের দিকে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে, মধ্যমেয়াদে উভয় পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে এবং আজকেও এটি বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।