আরও দেখুন
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল, যা খুব একটা বিস্ময়কর বিষয় নয়, কারণ সারা সপ্তাহ ধরে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য পতনশীল ছিল, এমনকি সেদিন স্থানীয় পর্যায়ে এই দরপতন ঘটানোর মতো কোন গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল না। শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের অত্যন্ত ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশের ফলে ডলার আরও শক্তিশালী হয়েছে।
যেখানে ইউরো প্রায় 100 পিপস দরপতনের পর কিছুটা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে উইকেন্ডে মার্কেটে ট্রেডিং শেষ হওয়া পর্যন্ত পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত ছিল। আমরা বারবার পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছি, যা ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জের কারণ হতে পারে। আমরা এটাও সতর্ক করেছিলাম যে, মার্কেটের ট্রেডাররা কেবল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণকে মূল্যায়ন করা শুরু করেছে। 2024 সালে আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পাউন্ড এখন প্রতিদিনই দরপতন শিকার হচ্ছে। ফলস্বরূপ, 1.1800 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রা, যা নিয়ে আমরা কমপক্ষে ছয় মাস ধরে আলোচনা করছি, এখন কয়েক মাস আগের তুলনায় এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে আরও বেশি অর্জনযোগ্য বলে মনে হচ্ছে।
5-মিনিট টাইমফ্রেমে, শুক্রবার কয়েকটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল উদ্ভূত হয়েছিল, তবে সেগুলো কার্যকর করা কঠিন ছিল। ইউরোপীয় সেশনের সময়, 1.2270 লেভেলের কাছাকাছি একটি সিগন্যাল দেখা যায়। মার্কিন সেশন শুরু হওয়ার সময়, পাউন্ডের মূল্য 1.2316 পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, যেখানে ট্রেডাররা টেক প্রফিট সেট করতে পারতেন। তবে, এর পরে মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে পাউন্ডের তীব্র দরপতন ঘটে। এই দরপতন বা 1.2316 লেভেলের সিগন্যালের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানো অত্যন্ত কঠিন ছিল। তা সত্ত্বেও, সম্ভাবনা রয়েছে যে ট্রেডাররা খালি হাতে দিনটি শেষ করেননি।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য বছরের শুরুর সাইডওয়েজ মুভমেন্ট থেকে বেরিয়ে এসে মূল প্রবণতায় ফিরে এসেছে। পাউন্ড প্রায় প্রতিদিনই দরপতনের শিকার হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা সম্পূর্ণরূপে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ আমাদের মতে এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল। তাই আমরা আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি; তবে, সর্বদা টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য সংক্ষিপ্তভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে; তবে, আরেকটি দরপতন হলেও সেটি আশ্চর্যের কিছু হবে না।
5-মিনিট টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো প্রাসঙ্গিক: 1.2089–1.2107, 1.2164–1.2170, 1.2235, 1.2270, 1.2316, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, এবং 1.2848–1.2860। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল ইতোমধ্যেই GBP/USD পেয়ারের পরিস্থিতি নির্ধারণ করার জন্য যথেষ্ট স্পষ্ট তথ্য প্রদান করেছে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।