empty
 
 
13.01.2025 08:22 AM
EUR/USD পেয়ারের সাপ্তাহিক পর্যালোচনা – ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না

This image is no longer relevant

শুক্রবার EUR/USD পেয়ার উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ট্রেডাররা মূলত ট্রেডিং কার্যক্রম থেকে বিরত ছিল, কারণ তারা শুক্রবার ট্রেড করার জন্য অপেক্ষা করছিল, যেদিন শেষ পর্যন্ত মার্কেটে প্রত্যাশিত মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। সপ্তাহের শুরুর দিকে, ইউরোজোনে গুরুত্বপূর্ণ কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) বা ভোক্তা মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা ইউরোর মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে, ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এটি কোনোভাবে ইঙ্গিত দেয়নি যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) তাদের আর্থিক নীতিমালা পরিবর্তনের কথা ভাবছে বা সুদের হার কমানোর গতি কমাবে। ফলস্বরূপ, সংক্ষিপ্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পর শুক্রবার আসার আগেই ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়।

শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্রে বহুল প্রত্যাশিত নন-ফার্ম পেরোল এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সাধারণত যেমনটি ঘটে, বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকরা এই প্রতিবেদনগুলোর দুর্বল ফলাফল এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তবে, তারা আবারও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই কেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অবনতির আশা করেন এই বিষয়টি অবাক করার মতো। বরং, দেশটির অর্থনীতিতে কৃষি খাতের বাইরে নতুনভাবে 256,000 অ-কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যা পূর্বাভাসিত 160,000 থেকে 200,000 এর পরিসরকে উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে গেছে। যদিও নভেম্বরের পরিসংখ্যানে নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছিল, ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অধিক গুরুত্ব পেয়েছে। এছাড়াও, বেকারত্বের হার 4.1%-এ নেমে এসেছে, যা কোনো বিশেষজ্ঞই ভবিষ্যদ্বাণী করেননি। উভয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনই অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশা অতিক্রম করেছে, যার ফলে ডলার শক্তিশালী হয়। তবে, আমাদের মতামত অনুযায়ী, যাই হোক না কেন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতো—সম্ভবত ধীর গতি হলেও সামগ্রিকভাবে এই প্রবণতা অপরিবর্তিত থাকত।

আগামী সপ্তাহে, ইউরো আবারও সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক প্রেক্ষাপট থেকে সমর্থনের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক ক্যালেন্ডারের উপর ভিত্তি করে, কোথায় থেকে এমন সমর্থন পাওয়া যেতে পারে তা চিহ্নিত করা কঠিন। ইউরোজোনে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে: জার্মানির বার্ষিক জিডিপি, ইউরোজোনের শিল্প উৎপাদনের পরিসংখ্যান এবং জার্মানি ও ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় পূর্বাভাস। এই সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা জার্মানি এবং ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে বিবেচনায় নিয়েছে, এবং দ্বিতীয় পূর্বাভাসে ভোক্তা মূল্য সূচকের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি প্রদর্শিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে না। এমন বৃদ্ধি ছাড়া, ইসিবি এই বছরের শুরুতে এক বা দুইবার সুদের হার হ্রাসের বিরতির কোনো সম্ভাব্যতা বিবেচনা করবে বলে আশা করা যায় না। এছাড়াও, 2024 সালে জার্মানির -0.2% জিডিপির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যা নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে, এবং এটি ইউরোর চাহিদা বাড়াবে বলে আশা করা যাচ্ছে না। ইউরোজোনের শিল্প উৎপাদনের পূর্বাভাসও একইভাবে হতাশাজনক, যেখানে বার্ষিক ভিত্তিতে -1.8% হ্রাসের পূর্বাভাস রয়েছে।

এই সপ্তাহে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থেকে ইউরো খুব কমই সমর্থন পাবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোতে দেখা গিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সূচকগুলো সাধারণত শক্তিশালী ফলাফল প্রদর্শন করে। আমরা পরবর্তী নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করবো।

This image is no longer relevant

১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 83 পিপস, যা "গড়পরতা" হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা আশা করছি যে সোমবার এই পেয়ারের মূল্য 1.0154 এবং 1.0338 লেভেলের মধ্যে ওঠানামা করবে। আপার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী রয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতা নির্দেশ করে। CCI সূচকটি দুবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে এবং একটি বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠিত হয়েছে। তবে, এই সিগন্যাল শুধুমাত্র একটি কারেকশনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে, যা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

  • S1: 1.0193
  • S2: 1.0132

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

  • R1: 1.0254
  • R2: 1.0315
  • R3: 1.0376

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে, আমরা ধারাবাহিকভাবে মাঝারি-মেয়াদে ইউরোর দরপতনের প্রত্যাশা প্রকাশ করেছি। আমরা সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছি এবং মনে করি না এটি এখনও শেষ হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ভবিষ্যতের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সমস্ত বিষয়কে মূল্যায়ন করেছে বলে উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যার মানে বর্তমানে টেকনিক্যাল কারেকশন ছাড়া মাঝারি-মেয়াদে ডলারের দরপতনের কোনো কারণ নেই।

শর্ট পজিশনগুলো এখনও প্রাসঙ্গিক, যেখানে 1.0193 এবং 1.0154 এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করছেন, তারা মূল্য মুভিং এভারেজের উপরে উঠলে লং পজিশন বিবেচনা করতে পারেন, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0437 এর লেভেল। তবে, বর্তমান সময়ে যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

চিত্রের ব্যাখা:

  • লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
  • মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
  • মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
  • অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
  • সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.