empty
 
 
15.01.2025 08:49 AM
১৫ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবারও এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সারাদিন ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির চেয়ে বেশি দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে। ইউরোর মতোই, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের এই দরপতনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছিল না; তবে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পাউন্ডের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে, পাউন্ডের মূল্য সঠিকভাবে কারেকশন করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে এটি কেবলমাত্র একটি সংক্ষিপ্ত বিরতি ছিল।

আজ ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন পাউন্ডের আরও দরপতন ঘটাতে পারে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো ফলাফল ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য সহায়ক হতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় নিশ্চিতভাবেই বাড়বে, যা ডলারকে শক্তিশালী করবে। এর বিপরীতে, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি গৌণ গুরুত্ব বহন করবে, কারণ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড বর্তমানে মূল সুদের হার কমানোর কথা বিবেচনা করছে না। সুতরাং, মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা বর্তমানে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করছে না।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল। প্রথম সেল সিগনালটি 1.2235 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত হয় এবং এটি যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল যা দরপতন ঘটিয়ে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.2164–1.2170 এরিয়ায় নিয়ে আসে, যেখানে এমনকি এই এরিয়া ব্রেকও করা হয়। তবে, এই দরপতন অব্যাহত থাকেনি, এবং মূল্য দ্রুত এই লেভেলের উপরে ফিরে আসে। সেই মুহূর্তে শর্ট পজিশনগুলো ক্লোজ করা উচিত ছিল।

1.2164–1.2170 এরিয়ার উপরে কনসোলিডেশন একটি বাই সিগনাল হিসেবে কাজ করে এবং কিছুক্ষণ পরে একই এরিয়া থেকে আরেকটি বাই সিগনাল আসে। নতুন ট্রেডাররা উভয় সিগনাল থেকেই লাভ করতে পারতেন।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার গঠন অব্যাহত রয়েছে, যেখানে পাউন্ড প্রায় প্রতিদিনই দরপতনের শিকার হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি যে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতন ঘটতে পারে, কারণ এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। সুতরাং, আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে; তবে, সর্বদা টেকনিক্যাল সিগনালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য বিভিন্ন দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে এবং দিনের মধ্যে একাধিকবার গতিপথ পালটে যেতে পারে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2235, 1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। বুধবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.