আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামা শুরু করেছিল, ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.1019 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য কমে 1.0942 এর টার্গেট লেভেলের দিকে চলে যায়।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নন-ফার্ম পে-রোলের শক্তিশালী বৃদ্ধি সত্ত্বেও বেকারত্বের হার 4.2% পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় ডলারের প্রতি ট্রেডারদের আগ্রহ কিছুটা কমে যায়। যদিও বেকারত্বের হার বৃদ্ধি সাধারণত নেতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হয়, এটি শ্রমবাজারে নতুন অংশগ্রহণকারীদের আগমনের ইঙ্গিতও দিতে পারে—যা কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদের প্রতিফলন ঘটায়। ফলে, ট্রেডাররা প্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে নীরব ছিল এবং তারা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সংক্রান্ত দিকনির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছিল—যেটি শেষ পর্যন্ত আসেনি।
আজ সকালে ইউরোজোনে সেন্টিক্স থেকে ইনভেস্টর কনফিডেন্স বা বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। যদি এই অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল হয়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের ওপর পুনরায় চাপ সৃষ্টি হতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে ইউরোজোনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সেন্টিক্স থেকে প্রকাশিতব্য সূচকটির ফলাফল বিনিয়োগকারীদের মনোভাব প্রতিফলিত করে, আর খুচরা বিক্রয়ের পরিবর্তনের মাধ্যমে ভোক্তাদের ব্যয়ের প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এই দুইটি সূচকই ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রত্যাশার তুলনায় নেতিবাচক ফলাফল মার্কেটে ইউরো বিক্রির প্রবণতা বাড়াতে পারে, আর ইতিবাচক ফলাফল ইউরোর দর বৃদ্ধির ঘটাতে পারে—বিশেষ করে বর্তমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা শক্তিশালী হলে এবং খুচরা বিক্রয় বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়, যা ইউরোর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়াতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1117-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1040-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1117-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে সকালের সেশনের দিকে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0975-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.1040 এবং 1.1117-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0975-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0887-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোন সময় এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1040-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0975 এবং 1.0887-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।