empty
 
 
23.04.2025 08:20 AM
২৩ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বুধবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এর সবকটাই পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতে এপ্রিল মাসের পারচেসিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (PMI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই সূচকগুলো ইউরোপের অনেক দেশ, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হবে। ইউরোপে ব্যবসায়িক কার্যকলাপে মন্থরতার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা সম্ভবত বুলিশ ট্রেডারদের সন্তুষ্ট করবে না। একই সময়ে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও বাজার পরিস্থিতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল সাধারণত মূল্যের মুভমেন্টে খুব বেশি প্রতিফলিত হয় না এবং ট্রেডারদের মনোভাবেও তা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না। ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে PMI সূচকগুলো কমে গেলে ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

আগের মতোই, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন শুল্ক আরোপ করে অথবা বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করে, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ এবং অর্থনৈতিক জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্যের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখুন। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনা নতুন করে ডলারের দরপতনের কারণ হতে পারে। আবার, যেকোনো ধরনের উত্তেজনা প্রশমনের সংকেত ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষণ দেখা যায়নি, এবং নতুন কোনো ঘটনা ছাড়াই ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।

গতকাল ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত 145% শুল্ক বহাল রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটেই স্বস্তির আভা দেখা গেছে। বিটকয়েন, মার্কিন ডলার, এবং মার্কিন স্টক সূচকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে ট্রাম্প ব্যাখ্যা করেননি যে কখন বা কী শর্তে এই শুল্ক হ্রাস করা হবে। এবং যদি চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত না হয়, তাহলে হোয়াইট হাউজ সম্ভবত এই সংঘাত নিরসনের পথে এগোবে না। তবে, ট্রাম্পের ক্ষেত্রে, কোনকিছুই অসম্ভব নয়।

উপসংহার:

সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মঙ্গলবার আমরা মার্কিন ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখেছি, যা বুধবারের প্রথমার্ধেও অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য পুরোপুরি মূল্যায়ন করেনি। এছাড়াও, এপ্রিল মাসের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকগুলোর ফলাফল থেকে ইউরো এবং পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি পারে, যা ব্যবসায়িক কার্যকলাপ মন্থর হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.