1 - টোকিও

জাপানের রাজধানী শহর টোকিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্রস্থল। শহরটিতে নতুন শ্রমশক্তি প্রবাহিত হওয়ায় এটির জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। বর্তমানে, টোকিও শহরে 37 মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস করে। শহরটির বেশ কিছু বিশেষ এলাকায় জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ঘনত্ব পরিলক্ষিত হয়। একই সময়ে, প্রকৃতপক্ষে টোকিও শহরের গড় ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় 4,600 জন। এটি ভারতের মুম্বাইয়ের তুলনায় পাঁচগুণ কম, যেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর বলে মনে করা হয়।

2 - জাকার্তা

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা বিশ্বের নিচু শহর হিসেবে পরিচিত। শহরটির কিছু এলাকায় প্রতি বছর 25 সেন্টিমিটার হারে পানির স্তর বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন যে 2050 সালের মধ্যে জাকার্তা সম্পূর্ণরূপে পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এটি দেশটির কর্তৃপক্ষের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ কারণ তাদের প্রায় 34 মিলিয়ন মানুষকে স্থানান্তর করতে হবে, যা এই মহানগরের বর্তমান জনসংখ্যা। তাদের বেশিরভাগই নুসান্তারায় চলে যাবে। এই শহরটি নতুন রাজধানী হতে যাচ্ছে যা ডুবন্ত জাকার্তাকে প্রতিস্থাপন করতে প্রস্তুত। 2021 সালে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

3 - দিল্লি

ভারতীয় রাজধানী সাধারণত বিশ্বের সবচেয়ে বসবাস অযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে পরিচিত। শহরটি উচ্চ অপরাধের হার, তীব্র পরিবেশ দূষণ এবং দুর্বল অবকাঠামোর জন্য কুখ্যাত। এত কিছুর পরও শহরটির জনসংখ্যা বাড়ছে। 2022 সালে, এই শহরের জনসংখ্যা 32 মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়াও, দিল্লি সবচেয়ে বেশি জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে 13,000-এর বেশি মানুষ বসবাস করে।

4 - গুয়াংজু

জনসংখ্যার দিক থেকে চীন অবিসংবাদিতভাবে শীর্ষ দেশ। বর্তমানে, দেশটিতে 1.4 বিলিয়নেরও বেশি মানুষ বসবাস করে, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ। যাইহোক, চীনের জন্মহার কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এ কারণেই চীনের বৃহত্তম শহর গুয়াংজু চলতি বছরের বৈশ্বিক তালিকার চতুর্থ স্থানে নেমে গিয়েছে। সাম্প্রতিক অনুমান অনুসারে, চীনের প্রধান অর্থনৈতিক, গবেষণা এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গুয়াংজুতে প্রায় 27 মিলিয়ন মানুষ বাস করে।

5 – মুম্বাই

মুম্বাই শহরটি জনাকীর্ণ রাস্তার জন্য বিখ্যাত। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর, যেখানে এক বর্গ কিলোমিটারে 25,000 জন বাসিন্দা বসবাস করে। শহরটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি বস্তিতে বসবাস করে। চরম দারিদ্র্য এবং অনুন্নত বা পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও, মুম্বাইয়ের জনসংখ্যা প্রতি ঘন্টায় 50 জন করেরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শহরটিতে বসবাসকারী মোট জনসংখ্যা ইতোমধ্যে 25 মিলিয়নে পৌঁছেছে।

6 - ম্যানিলা

ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা এই তালিকার মুম্বাই শহরকে ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছে। এই শহরে প্রায় 24.9 মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। ভারতীয় মহানগরী মুম্বাইয়ে সাথে একটি ক্ষেত্রে ম্যানিলার মিল রয়েছে: শহরটির অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা ভয়ঙ্কর দারিদ্র্য এবং ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাস করে। উদাহরণস্বরূপ, এই শহরের অনেক মানুষকে কবরস্থানে বসবাস করতে হয় এবং তারা তথাকথিত কবরস্থানের বস্তি তৈরি করেছে। সেখানকার বাসিন্দারা কবরগুলোকে বাড়ি, দোকান এবং এমনকি ক্যাফেতে পরিণত করেছে।

7 - সাংহাই

এই মহানগরীকে বলা হয় চীনের ব্যবসার কেন্দ্র এবং বড় সুযোগের শহর। উন্নত জীবন এবং উচ্চ বেতনের চাকরির খোঁজে প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষ সাংহাইতে আসে। এই অভিবাসন শহরটিরর ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যায় অবদান রাখছে। বর্তমানে, সাংহাই শহুরে এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের সংখ্যা 24 মিলিয়ন বলে অনুমান করা হয়।